উত্তরদিনাজপুর

কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যে সরকারের যৌথ প্রয়াসে বিনা পয়সায় চাষীদের ফসল বীমা করানোর উদ্যোগ

বাংলায় ফসল বীমা যোজনার সুবিধা গ্রহণে চাষীদের আগ্রহী করে তুলতে ব্যাপক প্রচারে নামলো উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। মাইক যোগে প্রচার শুরু করেছে পঞ্চায়েত সমিতি। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই প্রচার চলবে সপ্তাহ ব্যাপী। কম বৃষ্টি,অতি বৃষ্টির সাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফসল উৎপাদন আশানুরুপ না হলে চাষীরা ক্ষতিপূরন পাবে এই ফসল বীমা থাকলে। এই ফসল বীমা করতে কোন অর্থ দিতে হবে না চাষীকে,বীমার প্রিমিয়াম মেটাবে সরকার। খুব সহজে গ্রাম বাংলার চাষীদের ফসল বীমার আওয়তায় আনার পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যে সরকারের যৌথ উদ্যোগে। কিষান ক্রেডিট কার্ড আছে এমন সমস্ত চাষী সহজেই অর্ন্তভুক্ত হতে পারবে এই বীমা যোজনায়। কিষান ক্রেডিট কার্ড নাই এমন চাষীদের শুধু জমির দলিল বা খতিয়ান পেশ করলেই মিলবে  বীমার সুযোগ। চুক্তিতে চাষ করা চাষীরাও চুক্তিপত্র দেখতে পারলে ফসল বীমার অংশ নিতে পারবে বলে জানান তৃনমূল পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই বৈশ্য।

 

            কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই বৈশ্য জানান চলতি  খারিফ মরসুমে ধান চাষে যুক্তদের এই ফসল বীমায় অংশ গ্রহণের সুযোগ মিলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। সভাপতি জানান প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিশেষ শিবির অনুষ্ঠিত হবে। ফসল বীমার চাষিদের সহজে অংশ গ্রহণের জন্য। ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এই শিবির অনুষ্ঠিত হবে ১ জুলাই থেকে। বীমা সংস্থার কর্মী ছাড়াও কৃষি দপ্তর ও পঞ্চায়েতের এক কর্মী থাকবে এই শিবিরে চাষীদের সহযোগিতার জন্য। যত বেশী সম্ভব চাষীদের ফসল বীমার যুক্ত করতেই ব্যাপক ভাবে প্রচারের ব্যাবস্থা নেওয়া  হয়েছে।

 

            কৃষকেরা জানান বিগত দিনে এই ধরনের সুবিধা তারা পায়নি। বিভিন্ন সময়ে ঝড় বৃষ্টির কারনে তাদের ক্ষতির মূখে পড়তে হয়। আর বিনা পয়সায় সরকারের পক্ষ থেকে বীমা করে দিলে তারা উপকৃত হবে। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।